আদালত চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা
বাংলার জমিন ডেস্ক :
আপলোড সময় :
০৬-০৯-২০২৩ ১০:২৯:২০ পূর্বাহ্ন
আপডেট সময় :
০৬-০৯-২০২৩ ১০:২৯:২০ পূর্বাহ্ন
ফাইল ছবি :
সরকার পতনে এক দফা আন্দোলনে নতুন কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামবে বিএনপি। নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির উদ্যোগ ও জামিন নামঞ্জুরের প্রতিবাদে আদালতকেন্দ্রিক আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ কর্মসূচির আগে আগামী শনিবার ঢাকার দুই প্রান্ত থেকে গণমিছিল শেষে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করবে বিএনপি।
গত সোমবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটি, ভাইস চেয়ারম্যান ও যুগ্ম মহাসচিবের সঙ্গে পৃথক বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এসব শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দিয়ে চূড়ান্ত আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে বলেছে বিএনপির হাইকমান্ড। দলীয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।আদালতকেন্দ্রিক কর্মসূচির পরিকল্পনা তুলে ধরে বিএনপির এক নেতা বলেন, আদালতের রায়ের প্রতিবাদে এক সপ্তাহের মধ্যে ঢাকায় সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ন্যায়বিচার না পাওয়ায় আদালতের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবও দেবে সমাবেশ। এরপর সারাদেশে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ক্ষমতাসীন ও পুলিশি মামলা, আদালতে কীভাবে তাদের বিচার হচ্ছে, তা তুলে ধরা হবে সেমিনারের মাধ্যমে।বিদেশী কূটনীতিকদের সামনে একটি সেমিনারে সরকার বিরোধী নেতা-কর্মীদের 'দমন ও শাস্তি' দেওয়ার জন্য আদালতকে ব্যবহার করার বিশদ চিত্র তুলে ধরবে।
এরপর আদালত চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। তিনি বলেন, একই দাবিতে একই দিনে ঢাকায় সমাবেশ করতে পারে বিএনপি।
স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, 'নতুন কর্মসূচি আসবে। লাগাতার আন্দোলনে পরিস্থিতি বিবেচনায় কর্মসূচির ধরন পরিবর্তন করতে হবে।আন্দোলন দমনে সরকার প্রশাসনের সঙ্গে আদালতকে স্বেচ্ছাচারিতায় ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপি নেতারা। নির্বাচনের আগে বিরোধী দলের নেতাদের দোষী সাব্যস্ত করার কাজটি দ্রুত বিচার সম্পন্ন করছে। সরকার সারা দেশে শত শত মামলাকে লক্ষ্য করে একটি পরিকল্পনা তৈরি করেছে। এর সঙ্গে যোগ হতে পারে আরও অনেক ঘটনা।এর ফলে কারাগারে যেতে হতে পারে দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের। গায়েবি মামলা, ব্যাপক গ্রেপ্তারসহ বিচারের দাবিতে কর্মসূচীর কোনো বিকল্প নেই এই চিন্তা থেকে দ্রুত বিচার করলে কেউ রেহাই পাবে না। ফলে অনুপস্থিতিসহ বিভিন্ন মামলায় রায়ের প্রতিবাদে রাজপথে সমাবেশ, সেমিনার ও আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবীদের অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হলেও কর্মসূচি ঘোষণার আগে সমমনা দল ও জোটের সঙ্গে বৈঠক করবে বিএনপি। এসব দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে আদালতকেন্দ্রিক আন্দোলনের চূড়ান্ত পরিকল্পনা তৈরি করা হবে।
বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের এক নেতা বলেন, বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা কেমন চলছে তা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সবাই জানে। মুহাম্মদ ইউনূসকে হয়রানির ঘটনায় দেখা যায়। গত সোমবার ইউনূসের মামলায় আদালতকে কীভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে সে বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. ফলে এ কর্মসূচির মাধ্যমে বিরোধী মত ও পথের মানুষের প্রতি ক্ষমতাসীনদের বিরূপ আচরণকে সহজেই বিশ্বাসযোগ্য করে তোলা সম্ভব হবে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, "পুলিশ গায়েবি মামলা দিয়ে সরকার আদালতকে ব্যবহার করে সাজা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। সারাদেশে ১ লাখ ৪১ হাজার ৯৩৪টি মামলায় ৪৯ লাখ ৪০ হাজার ৪৯২ জনকে আসামি করা হয়েছে।" দলের এমন কোনো নেতা নেই যার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা নেই।
এদিকে কর্মসূচির পাশাপাশি ঢাকা ও আশপাশের জেলায় সাংগঠনিক ভিত্তি মজবুত করতে বিশেষ পরিকল্পনা নিয়েছে বিএনপি। আগামী ২৯শে জুলাই রাজধানীর প্রবেশপথে অবস্থান কর্মসূচির ব্যর্থতার অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চায় ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ, ঢাকা জেলা, গাজীপুর জেলা ও মহানগর, নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর, মুন্সীগঞ্জ, টাঙ্গাইলের নেতৃবৃন্দ। নরসিংদী ও মানিকগঞ্জ লোকেশন প্রোগ্রামে প্রত্যাশিত ভূমিকা রাখতে পারেনি, এসব এলাকায় সংগঠনকে শক্তিশালী করার চেষ্টা চলছে।
সূত্রঃ দৈনিক সমকাল
নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Jamin
কমেন্ট বক্স